স্বল্প খরচে বালি ভ্রমনের ৩য় পর্বঃ-
বালিতে আমার প্রধান আকর্ষন ছিল নুসা দুয়াতে ওয়াটার এক্টিভিটিস। আমি BINTANG ওয়াটার স্পোর্টস নামের এক প্রতিষ্ঠানে ওয়াটার এক্টিভিটিস করি। Sea Walking & JET SKI এই দুইটা এক্টিভিটির জন্য দরদাম করে ৫০% ডিস্কাউন্টে রেট ফিক্সড করি। একটিভিটিজ বেশি হলে অবশ্যই ৩০% এ ট্রাই করবেন। এখানে দরাদাম না করলে নিশ্চিতভাবে অনেক টাকার খেসারত গুনতে হবে। তখন মাথায় হাত দিয়ে আফসোস করা ছাড়া কোন উপায় থাকবে না। একটিভিটিজের স্টিল ফটো আর ভিডিওর জন্য আলাদাভাবে রুপিয়া দিয়ে ক্যামেরা ভাড়া করতে হয়েছিল। আপনি চাইলে নাও নিতে পারেন তবে আমার মতে কিছু টাকা খরচ হলেও আন্ডার ওয়াটার ভিডিও নেওয়া উচিৎ। তারা ছবি ও ভিডিও একটা সিডি আকারে দিবে,তারপরও আপনি সেগুলো পেন ড্রাইভ বা মেমরী কার্ডে করেও নিতে পারবেন।
প্রথমেই ছিল SEA WALKING। এখানে ওরা একটি করে টি শার্ট আর এক জোড়া জুতা দিয়েছিল। প্রথমে একটি বোটে করে ওদের টার্মিনালে নিয়ে যায়। সেখানে অক্সিজেন হেলমেট পড়িয়ে সাগরের নিচে নিয়ে যাওয়া হয়। ২ জনের জন্য ১ জন করে ইন্সট্রাকটর থাকে। আমার সাথে ইভেন্ট পড়েছিল তুরস্কের একটা মেয়ে ট্রাভেলারের। ধাপে ধাপে আমাদেরকে পানির অনেক নিচে নিয়ে যাওয়া হলো। হাতে কিছু পাউরুটি দিয়ে দেওয়া হলো যাতে মাছ এসে হাত থেকে খাবার খেয়ে যায়। এটা ছিল আমার জীবনের অন্যতম ভাল লাগার এক অনুভূতি। এত কাছে সুন্দর সুন্দর কালার ফুল মাছ দেখা, সে যে কি অনুভুতি বলে বোঝাতে পারব না,সাথে আবার বিদেশী মেম,অবস্থা ত বুজতেই পারছেন। বেশি কিছু বলতে পারছি না আর। এটা আমার বালি ভ্রমনের অন্যতম প্রধান আকর্ষন।
এর পর JET SKI করলাম। প্রথমে ইন্সট্যাক্টর পিছনে বসে সমুদ্রে নিয়ে আচ্ছা মত ঘুল্লি ঘাল্টা দিতে লাগল। আমি ত ভয়ে রীতিমত দোয়া কালাম পড়া শুরু করে দিলাম। এরপর কিছুটা স্বাভাবিক হলে ইন্সট্রাক্টর আমাকে চালাতে বলল। আমি একটু সাহস করে চালানোর চেষ্টা করলাম। শেষমেশ পারলামও। কিন্তু এটা চালানোর জন্য যে আনন্দ পেয়েছি তার নেশাটা আজও ভুলতে পারিনি। এটা এমন একটা এডভেঞ্চার যা লাইফ টাইম মনে রাখার মত।