ক্যারিয়ারজুড়েই পাদপ্রদীপের আলো থেকে অনেক দূরে থেকেছেন ইমরুল।
ক্যারিয়ারজুড়েই পাদপ্রদীপের আলো থেকে অনেক দূরে থেকেছেন ইমরুল। দল থেকে বাদ পড়েছেন, আবার ঘরোয়া ক্রিকেটে পারফর্ম করে দলে ফিরেছেন। তাঁর দলে থাকা নিয়ে বিশেষ+অজ্ঞরা অনেকবার প্রশ্ন তুলেছে, কিন্ত ভালো খেলেও টিম কম্বিনেশান কিংবা উইনিং কম্বিনেশনের ছুতোয় বাদ পরা ইমরুলের জন্যে সমবেদনা জানায়নি কেউ। ক্যাচ মিস করে খলনায়ক হয়েছেন, লোকে গালি দিয়েছে, ইমরুলকে ব্যাঙ্গ করে ভিমরুল বানিয়েছে। আবার তিনিই যখন প্রখর রোদে আড়াই দিন কীপিং করার পরে ক্লান্ত শরীর নিয়ে দেড়শো রানের ম্যাচ বাঁচানো ইনিংস খেলেন, তামিমের সাথে উদ্বোধনী জুটিতে রেকর্ড করেন, তখন সবাই ব্যস্ত হয়ে যান তামিমের ডাবল সেঞ্চুরী উদযাপনে।
তামিম-সাকিব-মুশফিকদের মতো স্টারডম নেই তাঁর, নেই বিশাল ফ্যানবেজও। দল থেকে ইমরুল বাদ পড়লে সমালোচনার ঝড় ওঠে না অনলাইনে, ম্যাচের পর ম্যাচ মাঠে পানি আনা-নেয়া করে কাটালেও কেউ বলে না ইমরুল কেন দলে নেই। অথচ সুযোগ পেলে তার সদ্ব্যবহার করতে ছাড়েন না মেহেরপুরের এই তরুণ। আজও যেমন করলেন। ৮৭ বলে ৭২ রানের ইনিংসটা ইমরুলের ক্যারিয়ারের সর্বোচ্চ নয় অবশ্যই। কিন্ত বিরুদ্ধ কণ্ডিশন, প্রতিকূল সময় আর ম্যাচের পরিস্থিতি মিলিয়ে, এটাকে তার ক্যারিয়ারের অন্যতম সেরা ইনিংস বললেও কি ভুল হবে?