ছোট ভালোবাসার গল্প
যে মেয়েটা কখনও রাঁধেনি, চুলোর কাছে যায় নি, তরকারি কাটাকুটি করেনি। সে মেয়েটাও এবড়ো থেবড়ো করে কাটাকুটি করে, লবন কম, মরিচ বেশী দিয়ে হলেও বিয়ের পর রান্না করে, জীবনের নতুন সম্পর্কে বাঁধা ছেলেটার জন্য।
স্বাদ যেমন তেমনই হোক, মুখে নিয়ে, বাহ বেশ রেঁধেছ তো। একটা হাসি দেয় ছেলেটা।
যে ছেলেটা কখনও বাজার করেনি, দামাদামী করে আনে নি কখনও কিছু। ছেলেটাও একটা বাজারের ব্যাগ হাতে নিয়ে বের হয়। পঁচা সবজি, বাসি মাছ নিয়ে ব্যাগ ভরে এসে দাঁড়ায়। মেয়েটা এসব দেখেও মিষ্টি হাসি দিয়ে বলে, এরপর থেকে একটু দেখে এনো, কেমন?
সময় কয়েক মাস টাকা জমিয়ে নতুন একটা দামী শাড়ি কিনে এনে হাতে হাতে ধরিয়ে দেয়। আনন্দে চিকচিক চোখে বলে, তোমায় তো আমি কিছুই দিতে পারলাম না।
-ভাল তো বাসতে পারবে। তো খাওয়াতে পারবে।
অসুস্থতায় অস্থির হয়ে সারারাত জেগে থাকে মেয়েটা, মাথায় হাত বুলিয়ে বলে, একটু ঘুমাবার চেষ্টা কর না। প্লিজ, সুস্থ হয়ে যাও দ্রুত। লাগে না তো।
নতুন সম্পর্কে বাঁধা দুটি মানুষের মাঝে বোঝাপড়া গড়ে উঠে এভাবেই। শরীরের প্রতি একটা শরীরের চাহিদাই শুধু বিয়ে নয়। নয় শুধু দুটি মানুষের কোলবালিশের জায়গা অদল বদল। নতুন করে একটা মানুষকে জানা, নতুন করে বুঝতে পারা, কেউ একজন সারাজীবন থাকবে পাশে। বাবা, মা, ভাই বোন ছাড়াও রক্ত সম্পর্কের কেউ না ছাড়া মানুষের সাথে একটা রক্তের সম্পর্ক গড়ে উঠবে। সম্পর্কে ফুটফুটে বাচ্চা কাচ্চা হবে। বাবা বলবে, বলবে মা বলে।
এই ডাক গুলো পৃথিবীর সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি ডাক গুলো শোনা হল যে মানুষটার জন্য, সে মানুষটাকে সম্মান করতে হয়, ভালবাসতে।
চাঁদটার দিকে চেয়ে, ধোঁয়া ওঠা চায়ের কাপে চুমুক দিয়ে গালের সাথে গাল মিশিয়ে বলাই যায়, ভালবাসি। সারাজীবন।