দামতুয়া - রোমাঞ্চকর এক অভিজ্ঞতা।
দামতুয়া - রোমাঞ্চকর এক অভিজ্ঞতা।
যারা নিজেকে নিয়ে এবং নিজের স্ট্যামিনা নিয়ে অধিক আত্মবিশ্বাসী অথবা হতাশ তারা নিজেকে একটু টেষ্ট করে দেখতে পারেন। ভ্রমন শেষে হতাশাগ্রস্থরা আত্মবিশ্বাসী হবেন আর আত্মবিশ্বাসীরা তাদের আত্মবিশ্বাসের প্রমান পাবেন।
আরেকটু দুঃসাহসিক কিছু চাইলে কোন এক বৃষ্টির দিনে এখানে চলে যেতে পারেন।
তিন, সাড়ে তিন ঘন্টা হেটে এই ঝর্ণায় পৌছানোর পরে মনেহতে পারে যে সৌন্দর্য্যের তুলনায় কষ্টটা একটু বেশিই বেশি হয়ে গেল। বাট ট্রাষ্ট মি, এখান থেকে ফিরে আসার পরে আপনি অন্য যেখানেই যান না কেন, এই জায়গার কথাই আপনার বেশি মনে পরবে। অনেক মিস করবেন, মনেহবে কিছু একটা করেছিলাম।
যাওয়ার জন্য ঢাকা থেকে ডিরেক্ট আলিকদমের বাসে উঠতে হবে (হানিফ প্রেফারেবল) (ভাড়াঃ ৮৫০ টাকা নন এসি)। আলিকদম গিয়ে পৌছাবেন নরমালি অ্যারাউন্ড ৮-৩০ থেকে ৯-০০। তারপরে সেখানে নাস্তা করে চান্দের গাড়িতে করে ১৭ কিলোমিটার নামক জায়গায় যেতে হবে (ভাড়ার ব্যাপারটা নিচে বলছি), সেখান থেকে গাইড ঠিক করে হাটা শুরু করবেন দামতুয়ার উদ্দেশ্যে। মোটামুটি ৩ ঘন্টা নানান চড়াই উৎরাই পেরিয়ে পৌছাবেন কাংখিত দামতুয়া ঝর্ণায়।
নোটঃ যদি শুধুমাত্র দামতুয়া ভ্রমনের উদ্দেশ্যে যান তাহলে চান্দের গাড়ির যাওয়া আসার ভাড়া হাজার তিনেকের মধ্যে হয়ে যাবে ইন শা আল্লাহ, আর যদি আপনার ঢাকার গাড়ি দেরি করে আলিকদম পৌছায় (ধরি সকাল ১০ টায় এবং নাস্তা করা, চান্দের গাড়ি ঠিক করতে আরও ১ ঘন্টা) তাহলে আপনি ১৭ কিলোমিটার গিয়ে পৌছাবেন মোটামুটি ১২ টার দিকে। সেখান থেকে দামতুয়া যাওয়া আসা মিলিয়ে মোটামুটি সাড়ে ৬ ঘন্টার মত লাগবে, তাহলে আপনার ১৭ কিলোমিটারে ফিরে আসতে আসতে সন্ধ্যা হয়ে যাবে এবং তখন আর এই পাহাড়ি রাস্তায় গাড়ি চালানোর পার্মিশান নাই। সেক্ষেত্রে আপনাকে এই ১৭ কিলোমিটারেই রাতটা থাকতে হবে এবং এটা আপনাকে এক অসাধারণ অভিজ্ঞতা দিবে। থাকার জন্য এখানে পাহাড়ীদের একটা ঘর আছে, ১০-১২ জন অনায়াসেই থাকতে পারবেন। আমাদের এই একই অবস্থা হয়েছিলো।
যাওয়ার জন্য একটু বড় গ্রুপ (৮-১০ জনের) হলে খরচ অনেক কমে যাবে।
সাথে অবশ্যই প্লাষ্টিকের ভালো গ্রীপওয়ালা জুতা, পানি, গ্লুকোজ, স্যালাইন, খেজুর নিয়ে যাবেন।
জোক আছে, লবন রাখতে পারেন সাথে।
এই জায়গায় খুব বেশি লোক যায়নি বলে জায়গাটা এখনও মোটামুটি ভালোই পরিচ্ছন্ন আছে। আমরা সবাই নিজ নিজ জায়গা থেকে এটা বজায় রাখার সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো ইন শা আল্লাহ।
যেকোন যায়গায় গিয়ে অবশ্যই এই সৃষ্টির স্রষ্টাকে ভুলে যাবেন না।
"তোমরা পৃথিবীতে ভ্রমণ কর এবং দেখ, কিভাবে তিনি সৃষ্টিকর্ম শুরু করেছেন।