ঢাকা-বান্দরবান-রুমা বাজার-বগালেক-কেওক্রাডং
এরপর বাসস্ট্যান্ডে (পাবলিক টয়লেটে/কাউন্টারের টয়লেটে) ফ্রেশ হয়ে সকালের নাস্তা সেরে রুমা যাওয়ার বাসস্ট্যান্ডে পৌছে ৮.১৫মিনিট এর বাসে উঠি।আমরা ৪জন ছাদে উঠেছিলাম এক্সট্রিম লেভেল এর এডভেঞ্চার প্রেমি হলে এই ছাদে যাওয়ার চান্স টা হাত ছাড়া করবেন না।ওভার এক্সসাইটেড না হয়ে একটু সাবধানে উপরের ডাল পালা খেয়াল রাখলে আশা করি আর কোনো রিস্ক থাকবেনা।তাহলে দেখবেন এই ৩ঘন্টার বাস জার্নি হয়ত আপনার লাইফের সেরা একটা জার্নি হয়ে থাকবে।চলার পথে বান্দরবান -রুমা রাস্তা এবং আসে পাশের সৌন্দর্য অবর্ণনিয়।সারে ১১টার মধ্যে আমরা রুমা বাজার পৌছাই। এরপর আগে থেকে ঠিক করা গাইড আমাদের কে রিসিভ করে এবং সকল কাগজ পত্র ঠিক করে রুমা আর্মী ক্যাম্ফে সাইন করে চান্দের গাড়িতে রওনা হই কমলাবাজারের উদ্দ্যেশ্যে।আর চলার পথে রুমা-কমলাবাজার পথের সৌন্দর্য উপভোগ করতে থাকি।ইহা এক কথায় ভয়ানক সুন্দর।এরপর দুপুর একটার মধ্যে কমলাবাজার পৌছে লাঠি কিনে বগালেক এর উদ্যেশে পাহাড়ে উঠতে শুরু করি।এই ৩০মিনিটের যাত্রা টা একটু কষ্টকর হবে।এতে হতাস হবেন না।পরবর্তীতে এত খারা পথ নাই বললেই চলে।আর সবসময় খেয়াল রাখবেন সামনে আপনার জন্য চমক অপেক্ষা করছে।যেকোনো যাত্রা পথে এই জিনিস টা খেয়াল রাখলে আপনার মনোবল দৃড় হবে।দুপুর দেরটার মধ্যে বগালেক পৌছে বগালেক আর্মী ক্যাম্ফে সই করে আমরা আমাদের কটেজে উঠি।এরপর বগালেকে গোসল করে ফ্রেশ হয়ে দুপুরের খাবার খেয়ে কিছু সময় রেস্ট নিয়ে বগালেক এর আশ পাশ ঘুরে দেখি।এরপর ৯টার মধ্যে রাতের খাবার খেয়ে রাত১১টার দিকে বার-বি-কিউ পার্টি করি।(এক্ষেত্রে আপনাকে রুমা বাজারেই গাইডকে বলতে হবে এবং রুমা বাজার থকেই প্রয়োজনীয় কেনা কাটা করে নিয়ে আসতে হবে যার সবই গাইড করবে আপনাদের একজন সাথে থাকলেই চলবে)।এটা ছিল আমাদের লাইফের সেরা বার-বি-কিউ(আমাদের গাইড দাদা জাস্ট রকস)। একদম শেষে ওনার নাম্বার দিয়ে দিয়েছি কেউ গেলে আমাদের জার্ণী ডেট আর আমাদের ১০জনের টিমের কথা বলবেন।এক্সট্রা এডভান্টেজ পেলেও পেতে পারেন।