মহেড়া জমিদার বাড়ি
মহেড়া জমিদার বাড়ি
বলা চলে বাংলাদেশের হোয়াইট হাউজ।
টাংগাইল জেলা কিন্তু জমিদারদের জন্য বেশ বিখ্যাত,এই অঞ্চলের বড় জমিদারিগুলোর মধ্যে অন্তত তিনটি মোঘল আমলে প্রতিষ্ঠিত বলে ধারণা করা হয়- করটিয়ার পন্নী, সন্তোষ (কাগমারী জমিদার) এবং ধনবাড়ি।
অবস্থানঃ মহেড়া জমিদার বাড়ির অবস্থান,টাংগাইল জেলার মির্জাপুর উপজেলায়।
সুন্দর পরিপাটি গোছালো এই জমিদার বাড়িতে গেলে আপনি চোখের শান্তি পাবেন,পাশাপাশি মনের শান্তিও,
জমিদার বাড়ির সামনে রয়েছে বিশাল এক পুকুর।বিশাল পুকুরটির নাম হলো বিশাখা সাগর,পুকুরের ডানে রয়েছে টিকেট কাউন্টার।
কাউন্টার থেকে টিকেট কেটে প্রবেশ(টিকেট মূল্য ৮০ টাঁকা) করলেই দেখবেন মহেড়া জমিদার বাড়ির বিশাল আঙ্গিনা।মহেড়া জমিদার বাড়ির চার ভাগে রয়েছে চারটি মূল প্রসাদ, যাদের নাম মহারাজা লজ, আনন্দ লজ, চৌধুরী লজ এবং কালীচরন লজ।এছাড়া রহেছে বর্তমানে একটি জাদুগর,এবং আরো ২ টি ভবন।সামনে থেকে হাটতে হাটতে ভিতরের দিকে গেলে চোখে পড়বে একটি পুকুর,পুকুরের মাঝে বসার জাইগা সত্যি অসাধারণ।এবং পুকুরের পিছনে সুন্দর পিকনিক কর্নার,বসে গল্প এবং বন্ধুদের সাথে আড্ডা দেওয়ার জন্য সুন্দর পরিবেশ।
#বিঃদ্রঃ বর্তমানে এটি পুলিশ ট্রেনিং সেন্টার,
যাতায়াত মাধ্যমঃ
মহাখালী থেকে টাংগাইল গামী যে কোন বাসে উঠে পড়ুন,নাটিয়াপাড়া বাস স্টান্ডে নামুন (ভাড়া পড়বে ৮০-১২০ টাঁকা চুক্তি করে ঊঠবেন) ।
কিছু বাসের নাম-বিনিময়,দ্রুতগামি,ধলেশ্বরি,নিরালা,তবে নিরালা বাসটি সব থেকে ভালো এবং ডাইরেক্ট,এই বাসের ভাড়া পড়বে ১৬০ টাঁকা।নাটিয়াপাড়া নেমে সেখান থেকে সি এনজি বা ইঞ্জিন চালিত ভ্যানে ২০ টাঁকা করে প্রতিজন মহেড়া জমিদার বাড়ি।রিজার্ভ ও জেতে পারবেন ১০০ টাঁকা,
#ভ্রমনে আপনার দ্বারা সৃষ্ঠ ময়লা আবর্জনা একান্তই আপনার ব্যক্তিগত সম্পদ,তাই অন্যকে প্রদর্শনের জন্য যেখানে সেখানে না ফেলে নিদির্ষ্ট স্থানে ফেলুন।