চাঁদপুরের
ইলিশের রাজধানী হিসেবে চাঁদপুরের সুপরিচিতি থাকলেও, এখানকার মিস্টির খ্যাতিও কম নয়..তেমন একটা আলোচনা করা হয়না বলেই হয়তোবা এই মিস্টির কথা অনেকেরই অজানা..
এই মিস্টি খেতে হলে যেতে হবে ফরিদগঞ্জ.. চাঁদপুর লঞ্চঘাট থেকে কিছুটা দূরে এই ফরিদগঞ্জ..তোহ খালি মিস্টি খেতে গেলে তো আর এতো টাকা সিএনজি ভাড়া দিয়ে পোষাবে না..কিন্তু যতো মুশকিল ততো আসান..ফরিদগঞ্জে রয়েছে একটি জমিদার বাড়ি এবং একটি মঠ..তাই এগুলো একসাথে দেখে আসতে পারেন এবং মিস্টি খেয়ে আসতে পারেন..পয়সা উসুল হবে আশাকরি..
ফরিদগঞ্জে কি কি দেখবেন?
★রুপসা জমিদার বাড়ি: গতানুগতিক জমিদার বাড়ির মত পুরাতন, ভাঙাচোরা না হলেও, সামনে রয়েছে সবুজ ঘাসে মোড়ানো একটি মাঠ..সেখানে বসে আড্ডা দিতে পারেন..ভালো লাগবে..নতুন জমিদার বাড়ির পেছনের দিকে রয়েছে পুরাতন জমিদার বাড়ির ভাঙাচোরা অংশবিশেষ, সেটা দেখতে ভুলবেন না..এছাড়া রয়েছে পুকুরঘাট, মেইন গেট দিয়ে ঢুকতেই একটি সুন্দর মসজিদ..আশাকরি সময়টুকু ভালো কাটবে..
★লোহাগড়া মঠ: সময় সল্পতার কারনে আর যাওয়া হয়ে ওঠেনি..তবে অনেক ভ্রমন পিপাসু প্রতিদিন এই মঠ দেখতে আসেন..
এছাড়া চাঁদপুর থেকে ফরিদগঞ্জ যাবার রাস্তাটা সুন্দর..নেমে ছবি তুলতে পারেন..
খাবার-
★আউয়াল ভাইয়ের মিস্টি: আমার কাছে অসাধারণ লেগছে..দোকান মালিকের সাথে কথা বলে জানতে পারলাম ঢাকা থেকে অনেকেই এখানে আসেন মিস্টি খেতে..ওখানে গিয়েই স্পঞ্জের মিস্টি ১০টার মত পেটে চালান করেছিলাম..যে কেউ চাইলে অনায়াসে 4/5টা খেতে পারবেন..
★কিভাবে যাবেন: চাঁদপুর লঞ্চঘাট থেকে নামলেই সিএনজি ওয়ালারা আপনাকে এমনভাবে ঘিরে ধরবে যে, আপনার আর সিএনজি খুঁজতে কোথাও যেতে হবে না.. রিজার্ভ এক সিএনজিতে পাঁচজন বসতে পারবেন..রুপসা জমিদার বাড়ি এবং আউয়াল ভাইয়ের মিস্টির দোকানে গেলে 500টাকার বেশি একটাকাও দিবেন না..আর লোহাগড়া মঠ গেলে অতিরিক্ত 100/150লাগবে..
আগেই বলে নিবেন যে, আপনাদের আবার লঞ্চঘাটে দিয়ে যেতে হবে এবং কতক্ষন ওখানে থাকবেন..
★চাঁদপুর শহরে কি কি দেখবেন?
★পদ্মার চর: তিন নদীর মোহনা পার হয়ে একটি চর..সবাই সাধারনত সকাল সকাল যায়..তখন ভিড় বেশি থাকে..তাই দুপুর 2টার দিকে যাওয়া উত্তম..যদিও তখন চর একটু ডুবে যায়..তবে হাটুসমান পানিও থাকেনা..তাই ঝাপাঝাপি,গোসল করার সুযোগ থাকে..ভালো লাগবে আশাকরি..
★তিন নদীর মোহনা/মেলহেড :এটি একটি পার্কের মত..এখানে বসে আড্ডা দিতে ভালো লাগবে..বিকেলে যাওয়াটা উত্তম..
খাবার-
★ওয়ান মিনিট আইসক্রিম : খুবই মজার, কিছুটা ব্যানানা ফ্লেভার..খেতে ভুলবেন না..
এছাড়া বিআইডব্লিউটিএ ক্যান্টিনে খেতে পারেন.. রিজেনেবল প্রাইসে ভালো খাবার..চাঁদপুর লঞ্চ টার্মিনাল থেকে বের হলেই হাতের ডান পাশে...
আমরা পাঁচজন ছিলাম..ঢাকা থেকে যাওয়া আসা এবং সারাদিন ঘোরা সব মিলিয়ে ৭০০টাকা লেগেছে পারহেড..
পররর্তী প্রজন্মেরও হক আছে এসব স্থানে যাবার..তাই তাদের কথা ভেবে হলেও পরিবেশ নস্ট না করি